জাহাঙ্গীর শামস: কক্সবাজার সদরের পিএমখালী চেরাংঘাটা বাজারে চাঞ্চল্যকর মোরশেদ আলী প্রকাশ মোরশেদ বলী হত্যা মামলার আরো ৪ আসামিকে আটক করেছে র্যাব-১৫। ৮মে সকাল ১০ টায় র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মনজুর মেহেদী ইসলাম তাদের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
গত ১৫ এপ্রিল আরো ৫ আসামি গ্রেফতার করে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। এ পর্যন্ত মোর্শেদ আলী হত্যা মামলার ৯ জন আসামি আটক করা হয়েছে। পুলিশের হাতে ঘটনার পরের দিন আটক হয় ৩ জন। মোট ২৬ জনের মধ্যে ১২ জন আসামি আটক হয়েছে।
র্যাবের হাতে আটককৃত সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ ভাই মাছুয়াখালী নছরত আলী পাড়ার মৃত শফি আলমের পুত্র মতিউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম এবং বাংলাবাজার এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র জয়নাল আবেদীন হাজারী। আটক ৪ জনই সরাসরি মুরশেদ হত্যায় জড়িত বলে র্যাব জানায়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান র্যাব ১৫ এর উপ অধিনায়ক মনজুর মেহেদী ইসলাম। মুলহোতা মালেক, আলালকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রামের র্যাব ৭ সাংবাদিক সম্মেলনে ৫ জন আটকের খবর জানায়। তারা হলেন বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক মেম্বার তার ২ ভাই নুরুল হক, মো. আলি প্রকাশ মোহাম্মদ, মোহাম্মদুল হকের ২ পুত্র মোঃ আবদুল্লাহ ও মোঃ আজিজ।
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে পানি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন ইজারা নিয়ে চালিয়ে আসছিল মোরশেদের পরিবার। এটি ভাগিয়ে নিতে নানা অপকৌশল, ছলচাতুরি করছিল একই এলাকার মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর লোকজন। এক পর্যায়ে জোর করে তারা দখলে নেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে পৌঁছে। অবশেষে পানি সেচ প্রকল্প বিবাদের নির্মম ভাবে খুন হল মোর্শেদ আলী।
র্যার-১৫ এর হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিবাদী যুবক মোর্শেদকে নির্মমভাবে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ দিলেন খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং সরাসরি জড়িত ৪ আসামি।
খুনিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একটি সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোর্শেদকে ধমন করতে গত ৭ এপ্রিল চেরাংঘাট বাজারে দিদারের সিমেন্টের দোকানে এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মাহমুদুল হক মেম্বার, তার ভাই মোহাম্মদ আলী এবং মেম্বারের ৩ ছেলেসহ সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেদিনই ঘটনা সংগঠিত করা হবে।