মোহাম্মদ আমান উল্লাহ: বাণীশান্তা এক সময় দেশের সবচেয়ে বড় পতিতা পল্লী হিসেবে স্বীকৃত ছিল। ১৯৫৪ সালে যখন মংলা সমুদ্র বন্দর গড়ে ওঠে তখন থেকেই এই পতিতালয়ের যাত্রা হয়েছিল।
জানা যায়, তবে তখন আজকের জায়গাটিতে ছিল না। ছিল মংলা শহরতলীর কুমারখালী খালের উত্তরে। প্রথমে ২০/২৫জন যৌনকর্মী নিয়ে পতিতা পল্লীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তিতে ব্যপ্তি বাড়তে থাকে। মংলা বন্দর-শহর সম্প্রসারিত হয়, লোকসংখ্যাও বাড়তে থাকে অতপর পতিতা পল্লীটিও পশুর নদীর পশ্চিম পাড়ে স্থান্তরিত হয়।
নামক প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, রাত গভীর হলেই এসব পতিতাপল্লিতে চলে মরণনেশা ইয়াবা সেবন। পতিতাপল্লিতে নিয়োজিত যৌনকর্মীরা প্রকাশ্যে মাদক সেবনে লিপ্ত। গভীর রাতে মেতে উঠে ইয়াবা কান্ডে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি জানান, সন্ধায় মদ নাচগান দিয়ে শুরু হলেও রাত ১০টার পর থেকে এসব পল্লিতে ইয়াবা’র ব্যবসা করছেন অধিকাংশ যৌনকর্মী। গ্রাহক থেকে প্রতি পিস ইয়াবার মুল্য রাখা হয় ৫০০ টাকা করে। কিভাবে ইয়াবা সেবন করে জানতে চাইলে তিনি জানান, হেরোইন সেবন মতোই ইয়াবা গ্রহন করছে আসক্তরা।
জানা যায়, এলোমুনিয়ামের ফয়েলের উপর ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে নিচ থেকে তাপ দিয়ে ওটাকে গলাতে হয়। তখন সেখান থেকে যে ধোঁয়া বের হয় সেটা একটা নলের মাধ্যমে মুখ দিয়ে গ্রহণ করে। ফলে সেটা মুহূর্তের মধ্যেই সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রে গিয়ে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।