মরিয়ম ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার: ক্রিকেটে হাসি ক্রিকেটেই উচ্ছ্বাস, আনন্দ সব কিছু এই ক্রিকেটেই।ক্রিকেট নিয়ে গড়ে উঠা আশা,স্বপ্ন কিংবা প্রত্যাশা কোনটার এখন আর কমতি নেই বাংলাদেশে।
এর শুরুটা কিন্তু একদিনে হয়নি,তিলে তিলে গড়ে উঠা এই প্রত্যাশা এখন রুপ নিয়েছে চাহিদায়।আর তাইতো ক্রিকেটের আলোকে আরও বেশি আলোকিত করতে এই কাতারে যোগ দিয়েছে শিশুরাও।চট্টগ্রামে এখন ক্রিকেট সমর্থকদের অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১১ ক্রিকেটের আসর।
সব জল্পনা কল্পনাকে পেছনে ফেলে শুক্রবার সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হয়ে গেল প্রথম উদ্বোধনী ম্যাচ। মহানগর আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিভাগের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বিসিবি সহসভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দীন ।এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী ,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর,আইন সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীসহ অনেকে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে ১০ টি দল |
টুর্নামেন্টের যাবতীয় খরচ বহন করছেন টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত শেখ রাসেল অনুর্ধ্ব-১১ ক্রিকেট আসরের প্রতিটি দলের নামকরণ করা হয়
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় নিহত ১০ সদস্যের নামে ।
আসরের শুরুতে কাঠের বলে শিশুদের খেলা নিয়ে আলোচনা থাকলেও, টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে ক্ষুদে খেলোয়াড়রা।টস জিতে শেখ ফজলুল হক মনির নামে দল উদিয়মান ক্রিকেট একাডেমি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।এরপরই ফিল্ডিংয়ে নামে ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমির সুলতানা কামাল দল।
মাঠে নামতেই জ্বলে উঠলো শিশুদের ব্যাট।আর দুর্দান্ত বোলিংয়ের ছোয়াঁয় চোখ কপালে সবার।
দর্শকের হৈ হুল্লুড়,বল ব্যাটের চার ছক্কায় বোঝার কোন উপায় ছিল না এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠ কাপাচ্ছে ক্ষুদে খেলোয়াড়রা।
আর আউট হওয়ার পর এ উচ্ছাস যেন বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে কম নয়। গ্যালারীতেও ক্রিকেটপ্রেমী দর্শক কিন্তু কম ছিল না।
দর্শক গ্যালারিতে বসে পুরো খেলাই উপভোগ করেন মহানগর আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিভাগের চেয়ারম্যান লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরীও।
সব মিলিয়ে শিশু নির্ভর প্রতিটি দলের দিকে বাজি সবার। হয়তো এই ক্ষুদে খেলোয়াড়দের মধ্য থেকেই তৈরী হবে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব, মাশরাফি,তামিম, মুশফিকদের মতো জাতীয় দলের গর্বিত কোন খেলোয়াড়।
খেলোয়াড়রা ক্ষুদে হলেও প্রথম দিনের উদ্বোধনী ম্যাচে শেখ ফজলুল হক মনির দলের অর্জন ছিল একটু বেশিই।২০ ওভারেই টার্গেট দেয়
১৪৬ রানের।মাঠে পারপরম্যান্স ভালো থাকলেও অল্প কিছু রানের ব্যবধানে ১২১ রান নিয়েই ওভার শেষ করে সুলতানা কামালের দল । জয় পরাজয় যাই হোক খেলার মাঠে শিশুদের মাঝেও ছিল সত্যিকারের একজন ক্রিকেটারের প্রতিচ্ছবি।